ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।
গত জুলাইয়ে স্টারমার বলেছিলেন— ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে না আসে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে অঙ্গীকার না করে, তবে যুক্তরাজ্য তার অবস্থান পরিবর্তন করবে।
ইসরায়েল এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে একে “সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা” বলে মন্তব্য করেছে। জিম্মি পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন ব্রিটিশ রক্ষণশীল রাজনীতিবিদও বিরোধিতা জানিয়েছেন।
লন্ডন বলছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় ও পশ্চিম তীরে অব্যাহত ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মূল কারণ।
বিচার সচিব ডেভিড ল্যামি বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে “পশ্চিম তীরের সহিংসতা ও বসতি সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়া।”
-
যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন।
-
ইতোমধ্যেই স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও শিগগির একই পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হয়।
-
এতে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়।
-
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৯৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
-
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রায় ৭৫ শতাংশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।







