আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে। কয়েক মাস আগে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ি ও সুধা সদনসহ শেখ হাসিনার বেশ কিছু স্থাপনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টিও সরকার নিশ্চিত করেছে। বিদেশে থাকা অবস্থাতেই তাকে এই রায়ের মুখোমুখি হতে হলো; দেশে ফিরলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় আলোচনায় এসেছে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বরের একটি ঘটনা—যেদিন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার স্বামী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই দিনের ভিডিও ও বর্ণনা নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার দিন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে “এক কাপড়ে টেনে-হিঁচড়ে” বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, দিনের পুরো সময় কোনো খাবার দেওয়া হয়নি এবং বাড়ির গ্রিল ও তালা ভেঙে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভেতরে প্রবেশ করে তার বাইরের লোকজনকে মারধর করে। খালেদা জিয়ার কথায়, তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয়নি।
খালেদা জিয়া তখন বলেছিলেন, তিনি প্রায় ৪০ বছর সেই বাড়িতে বসবাস করেছেন এবং স্বামী জিয়াউর রহমানের বহু স্মৃতি সেখানে রয়ে গেছে। ঘটনাটিকে তিনি তার প্রতি “অমানবিক আচরণ” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন এবং বিচার আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর ১৪ বছর আগের সেই উচ্ছেদ ঘটনা নতুন করে জনমত ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।

