আর মাত্র কয়েক দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক আয়োজন—ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আগামী ১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে মাসব্যাপী চলবে ৩০তম এই মেলা। রূপগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এবারের মেলার আয়োজন করেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের মেলায় বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’, যেখানে দর্শনার্থীরা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্জনের নানা দিক জানতে পারবেন।
এর আগে মেলার নাম থেকে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ঢাকা বাণিজ্য মেলা’ রাখার একটি প্রস্তাব উঠলেও তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। ফলে মেলার নাম আগের মতোই ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ থাকছে।
ইপিবি সূত্র জানায়, মেলাকে কেন্দ্র করে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মেলার প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশ ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
এবারের মেলায় দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৫০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, সিঙ্গাপুর ও আফগানিস্তান। আয়োজকদের মতে, এই অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মেলায় চালু থাকছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা। প্রবেশ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। পাশাপাশি শিশুদের জন্য রাখা হচ্ছে দুটি আলাদা শিশুপার্ক, যা পরিবার নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি বিনোদনের সুযোগ দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে পূর্বাচলের বিবিসিএফইসিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আধুনিক অবকাঠামো, প্রশস্ত পরিসর ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এই ভেন্যুতে মেলার পরিসর ও মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
সব মিলিয়ে নতুন বছরের শুরুতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিনোদনের সম্মিলিত উৎসবে পরিণত হতে যাচ্ছে ৩০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এই আয়োজন ঘিরে ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

