বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান সমস্যার মূল কারণ হিসেবে তামিম ইকবাল অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দলের মতো ফ্যাসিলিটিজ না থাকায় ক্রিকেটাররা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নত করতে পারছে না।
তামিম উদাহরণ টানেন মুশফিকুর রহিমের: কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক সুযোগ–সুবিধার মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারকে সেরা স্তরে পৌঁছানো সম্ভব। তিনি বলেন, জাতীয় দলে এসে অনেক কিছু শেখা উচিত নয়; এগুলো শুরু হওয়া উচিত অনূর্ধ্ব–১৫, অনূর্ধ্ব–১৭, অনূর্ধ্ব–১৯ স্তরেই।
সমস্যার সমাধানের বিষয়ে তামিম বোর্ডে দায়িত্ব নেওয়ার পরিকল্পনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমি যদি বোর্ড পরিচালক হিসেবে আসি, চার বছরের মধ্যে এক্সিলেন্স সেন্টার স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করতে চাই। এতে শুধু ক্রিকেট নয়, অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রেও সহায়তা সম্ভব হবে।”
পাইপলাইন ও স্কুল ক্রিকেটের গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেন। প্রতিটি এলাকায় এক বা দুইটি একাডেমি থাকলে শিশু ও তরুণ ক্রিকেটাররা সঠিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পাবে। তামিমের কথায়, “বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বশেষ প্রযুক্তি ও টেকনিকগুলো শেখানো প্রতিটি কোচের দায়িত্ব।”
মোটকথা, তামিম মনে করেন সঠিক সুযোগ–সুবিধা, একাডেমি এবং পরিকল্পিত ফ্যাসিলিটিজ থাকলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মান দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।







