সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
মৌলভীবাজারে শীতের সবজি বাজারে সরগরম হলেও কমছে না দাম। মৌসুম শুরুর পরও সবজির মূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা। বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৭০ থেকে ১০০ টাকার ওপরে। দুই-একটি সবজি ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নামেনি কোনো পণ্যের মূল্য।
বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০–১০০ টাকায়, শিম ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা এবং লম্বা বেগুন ৭০ টাকা। কচুর লতি মিলছে ৫০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি। টমেটোর দাম ১২০ টাকা, ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ৭০ টাকা, ছোট বাঁধাকপি ৬০ টাকা। শসা ৫০ টাকা কেজি, পাতি লাউ ৫০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০-১৭০ টাকা কেজি। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজারেও একই চিত্র। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজি আমদানি কিছুটা বাড়লেও দাম কমেনি। লাই শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক ৪০-৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৪০-৫০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা এবং টমেটো ১২০-১৫০ টাকা কেজি।
ফুলকপি সাইজ অনুযায়ী ৭০-৮০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউ ৪০-৫০ টাকা পিস, বেগুন ১০০-১৫০ টাকা কেজি ও মুলা ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উচ্চ দামে শিম এখনো প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায় রয়েছে।বাজার মনিটরিং না থাকা ও পাইকারি দামের অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ: শীতকালীন সবজি বাজারে দাম কমার কথা থাকলেও বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম তুলছেন।
জেলা সদরের এক সবজি বিক্রেতা আলাল বলেন, “পাইকারিতে সবকিছুই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেশি পড়ছে। স্থানীয় নতুন সবজি বেশি পরিমাণে বাজারে এলেই দাম কমে যাবে।”
আরেক বিক্রেতা জানান,“আমরা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি,এমন নয়। দোকান সাজাতে,নির্দিষ্ট জায়গায় বসতে একাধিক ধাপে টাকা দিতে হয়।”
সব মিলিয়ে শীতের শুরুতেই মৌলভীবাজারের সবজি বাজারে সাধারণ মানুষের স্বস্তি মিলছে না। মৌসুম বাড়লে ও স্থানীয় সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে,এমনই আশা ক্রেতা-বিক্রেতা সবার।







