রংপুরে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ রোধে গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন ছাড়পত্র ছাড়া কোনো গবাদি পশু জবাই নিষিদ্ধ করেছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইউএনও জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যেহেতু এই রোগ পশু থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ছাড়পত্র ছাড়া কোনো পশু জবাই করা যাবে না।
মাহমুদ হাসান মৃধা আরও জানান, ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই করলে প্রমাণসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর জেলার পীরগাছা, কাউনিয়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ রয়েছে এমন ৫৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রংপুরে যে অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়েছে তা ‘কিউটেনিয়াস অ্যানথ্রাক্স’, যা ত্বকে সংক্রমণ ঘটায়। এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। ফলে সংক্রমণ খুবই দ্রুত ছড়ায় না, তবে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।