গাইবান্ধায় এক উপপরিদর্শকের (এসআই) ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার এবং এসআই মনিরুজ্জামানের আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ গ্রামের শামসুল হক সওদাগরের মেয়ে নিশাত এ্যঞ্জেলা (৪৭), বর্তমান এসপি গাইবান্ধা জেলা পুলিশ; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার খোচাবাড়ি ভাঙ্গড় গ্রামের আমিরুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে শাহিনুর ইসলাম (৪৯), বর্তমানে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা; এবং লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর বুড়িমারী গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তারেকুজ্জামান তুহিন (৩৬)।
এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাদীপক্ষের আইনজীবী জান্নাতি ফেরদৌসী লাবনী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মার্চ মাসে তারেকুজ্জামান তুহিন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন। এর পরদিন ২৫ মার্চ বিকেলে এসপি নিশাত এ্যঞ্জেলার নির্দেশে ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার মনিরুজ্জামানকে থানায় ডেকে পাঠান। সেখানে তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ পরীক্ষা করে জব্দ করা হয় এবং পরে এসপি নিজের জিম্মায় রেখে দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওই ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে চাকরি হারানো ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর মনিরুজ্জামানকে রাজশাহী রেঞ্জের জয়পুরহাট জেলার কালাই থানায় বদলি করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে।
মামলার পরদিন ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) এসআই মনিরুজ্জামানকে কালাই থানার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালাই থানার ওসি জাহিদুল হক কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার অবগত রয়েছেন৷
পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া এই ঘটনাটি এখন পুলিশের অভ্যন্তরীণ আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।







