বাংলাদেশসহ বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা ও দীপাবলি আজ (সোমবার)। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রতি বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী শ্যামা বা মা কালীকে পূজা করেন। দীপাবলি ‘আলোর উৎসব’ নামেও পরিচিত।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নিশ্চিত করতে দেবী শ্যামা বা মা কালী পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। রাজধানীর কেন্দ্রীয় আয়োজন হিসেবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালন ও রাতে দেবী কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়েছে।
শ্যামাপূজার সন্ধ্যায় দেশের মন্দিরগুলো ও সনাতন সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদযাপিত হবে দীপাবলি। অনেকে মৃত স্বজনদের স্মরণে নদী বা পুকুরে প্রদীপ ভাসিয়ে দেন। রাতে দেবী কালীর পূজার পাশাপাশি অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ঠাটারীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্যামাপূজাকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এছাড়া রমনা কালীমন্দির, গোপীবাগ রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পোস্তগোলা ও লালবাগ শ্মশানসহ বিভিন্ন মন্দির ও আশ্রমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূজা ও দীপাবলির নানা আয়োজন।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, কালী হলেন শক্তি সম্প্রদায়ের প্রধান দেবী ও সংহারের অধিষ্ঠাত্রী। শুম্ভ-নিশুম্ভ নামের অসুর বধের সময় দেবী থেকে নির্গত অগ্নিরশ্মি তার দেহ কালো করে তোলে, তাই তার নাম হয় ‘কালী’। জগতের অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভশক্তিকে জাগ্রত করাই কালীপূজার মূল লক্ষ্য। দীপাবলি অর্থ আলোর উৎসব—এর মূল বার্তা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয় এবং অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর জয়।