২০২৫ সালটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে বলা যায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বছরজুড়ে দলটি ইতোমধ্যে খেলেছে ৫৪টি ম্যাচ—যা এ বছর অন্য কোনো দেশ খেলেনি। আর সবগুলো ম্যাচেই দলের অংশ হিসেবে থেকে নতুন ইতিহাস গড়েছেন দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান আগা।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নামার মুহূর্তেই আগা অনন্য এক কীর্তি গড়েন। ওই ম্যাচটি ছিল তার চলতি বছরের ৫৪তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ, যা এক ক্যালেন্ডার বছরে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড। এর আগে ৫৩ ম্যাচ খেলে যৌথভাবে এই রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, মোহাম্মদ ইউসুফ ও এমএস ধোনি।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তোলে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান। ইনিংসের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বাবর আজম—দারুণ ইনিংস খেলে ৫২ বলে করেন ৭৪ রান। আঘা ৬ নম্বরে নেমে মাত্র ১ রানে আউট হলেও ফখর জামান মাত্র ১০ বলে ২৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে থামে ১২৬ রানেই। পাকিস্তানের বড় জয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ফর্ম দেখিয়েছেন তরুণ পেসার উসমান তারিক। নিজের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই ১৮ রান খরচায় তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট, যার মধ্যে ছিল দারুণ একটি হ্যাটট্রিকও।
আগার এই রেকর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ১৯৯৭ সালে শচীন টেন্ডুলকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক বছরে ৫০টির বেশি ম্যাচ খেলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্যস্ত সূচির কারণে এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সালমানের আগে কেবল ড্যারিল মিচেলই ২০২৩ সালে ৫০ ম্যাচের সীমা পেরিয়েছিলেন।
এক পঞ্চিকা বর্ষে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ
| খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | বছর |
| সালমান আগা | পাকিস্তান | ৫৪ | ২০২৫ |
| রাহুল দ্রাবিড় | ভারত | ৫৩ | ১৯৯৯ |
| মোহাম্মদ ইউসূফ | পাকিস্তান | ৫৩ | ২০০০ |
| এমএস ধোনি | ভারত | ৫৩ | ২০০৭ |
| ল্যান্স ক্লুসনার | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫২ | ২০০০ |
| পল কলিংউড | ইংল্যান্ড | ৫২ | ২০০৭ |
| অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ | শ্রীলঙ্কা | ৫২ | ২০১৪ |
| শচীন টেন্ডুলকার | ভারত | ৫১ | ১৯৯৭ |
| সৌরভ গাঙ্গুলি | ভারত | ৫১ | ১৯৯৯ |
| মাইকেল হাসি | অস্ট্রেলিয়া | ৫১ | ২০০৯ |

