দেশের বাজারে ভারত থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও চালের দাম কমছে না। ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন কিছু কোম্পানির অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা। একই সঙ্গে বাজারে সবজির দামও চড়া অবস্থানে রয়েছে, কোনো সবজি এখন ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমার পরিবর্তে কোরবানির ঈদের পর হঠাৎ বেড়ে যায়। সরকার ভারত থেকে চাল আমদানির ব্যবস্থা নিলেও বড় ধরনের মূল্য হ্রাস দেখা যাচ্ছে না। এক পাইকারি চাল ব্যবসায়ীর ভাষ্য, “মনোপলি কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে দাম কমতে দিচ্ছে না।”
সবজির বাজারেও ক্রেতারা চরম বিপাকে। পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম স্থিতিশীল থাকলেও দেশি মসুর ডাল কেজি ১৬০ টাকা, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে ডিম ও মুরগির বাজারে খানিকটা স্বস্তি রয়েছে। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০ টাকায়, সোনালি মুরগি কেজি ৩২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৯০ টাকায়।
টিসিবির বাজারদরে দেখা গেছে:
দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা কেজি
মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৩৫-১৪৫ টাকা
দেশি মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১৬০-১৮০ টাকা
করলা ১০০-১২০, ঢেঁড়স ও পটোল ৮০-১০০, বরবটি ১০০-১২০, শসা ৮০, ঝিঙা ৮০-১০০
নতুন শিম ২২০-২৪০, কাঁচামরিচ ১৮০-২০০
সবচেয়ে সস্তা পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা কেজি
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি না থাকলে আরও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।