নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদেশ থেকে চাল আমদানির কারণে রাজধানীর পাইকারি বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এখনো তার প্রভাব পড়েনি। খুচরায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝারি জাতের পাইজাম চালের দাম বস্তাপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা কমে ২ হাজার ৮৫০ টাকায় নেমেছে। ভারতীয় নাজিরশাইল চালও কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা কমে ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৭৫০ টাকায়। তবে আতপ চালের দাম উল্টো বেড়েছে। বাবুর্চি ও ফারুক আতপ চাল বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং করপোরেট ব্র্যান্ডের আতপ চাল ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারতে চালের দাম বেশি হওয়ায় প্রত্যাশিত হারে আমদানি হচ্ছে না। যেখানে চার-পাঁচ হাজার টন চাল আসার কথা, সেখানে সম্প্রতি বেনাপোল দিয়ে এসেছে মাত্র ২৫০ টন। তবে হিলি সীমান্ত দিয়ে আসা চালের কারণে দিনাজপুর অঞ্চলে দাম কেজিতে দুই থেকে চার টাকা কমেছে।
পেঁয়াজের বাজারে আবারো ঊর্ধ্বগতি
হিলি ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের বাজারে আবারো চাপ বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৭৬ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে উভয় ধরনের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার এখনো চড়া
মৌসুম শেষ হওয়ায় সবজির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দামও বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ২০ টাকা, পেঁপে ২৫–৩০ টাকা কেজি দরে মিললেও বেগুন, টমেটো, গাজরসহ অন্যান্য সবজি ৭০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
প্রোটিন পণ্যের দাম
ডিম ডজনপ্রতি ১৩০–১৩৫ টাকায় নেমে এলেও খুচরায় এখনো ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৭০–১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০–৩২০ টাকা, গরুর গোশত ৭০০–৭৫০ টাকা এবং খাসির গোশত ১,১০০–১,২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছও আগের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।