সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
বিলাইছড়ি উপজেলা- রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে নীরব সাধক,বহুগুণে অধিকারী, বহু শিষ্যের জনক “মৈত্রী প্রদীপে” ভূষিত অজিতা মহাথের (ধ্যানভান্তের) ৯০ তম জন্মজয়ন্তী ও ১১ তম আচরিয় গুরুপূজা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অজিতা মহাথের সেবক সংঘ, শিষ্য – প্রশিষ্য এবং দায়ক – দায়কবৃন্দ নিয়ে এই জন্ম দিবস পালন করা হয়।
ভোররাতে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। সকালে উদ্বোধনী সঙ্গীত ও পঞ্চশীল প্রার্থনা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন, বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, কেক কাটা, পিন্ডদান ও বিকেলে ধর্মীয় সভা এবং প্রদীপ প্রজ্জলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, অজিতা মহাথের ১৯৩৫ ইং সনে বর্তমানে জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নে কুলুক পানি ছড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।গৃহী নাম শ্রী বয়ন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।পিতা – গৈরামুনি তঞ্চঙ্গ্যা,মাতা- মায়াবী তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি ১৩ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে প্রবজ্যা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মানন্দ মহাথের, শাক্যপ্রিয় ভিক্ষু,অভয় তিষ্য ভিক্ষু,আর্য্যনন্দ থের,তিলক জ্যোতি ভিক্ষু,জ্ঞানবংশ ভিক্ষু এবং চাইন্দ্যাশ্রী ভিক্ষু প্রমূখ। এছাড়াও দায়কের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল হেডম্যান, নিলু হেডম্যান, ভরত চন্দ্র কার্বারী, সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা,আনন্দ তঞ্চঙ্গ্যা, নিজয় কার্বারী, দীন নাথ তঞ্চঙ্গ্যা, মনিলতা তঞ্চঙ্গ্যা এবং মিহির কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা।
আধ্যাত্বিক শক্তি সম্পন্ন এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর প্রণাম ও আশীর্বাদ নিতে ছুটে আসেন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন এলাকা হতে হাজার হাজার পূর্ণ্যার্থী। এছাড়াও জানা গেছে, ধ্যান ভান্তের ইচ্ছা পূরণের জন্য একটি জাদি নির্মাণ করা হবে। যার কার্যক্রম ইতোমধ্যে আরম্ভ করা হয়েছে এবং মাটি কাটা হয়েছে। এমন দাতা কেউ থাকলে ০১৫৭৬৪৪৩৬০৮, ০১৮১৮২৭৮৪৯৮ নাম্বারে যোগাযোগ করবেন। সঙ্গীত শিল্পী তিশা দেওয়ান এর মনোমুগ্ধকর গানের পরিবেশনায় অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়।