আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই একযোগে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট। এতে চারটি বিষয়ে একটিমাত্র প্রশ্নের মাধ্যমে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, গণভোটে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হয়, তবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়েই একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই পরিষদ ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে। সংস্কার শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংখ্যানুপাতে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে, যার মেয়াদ থাকবে নিম্নকক্ষের মেয়াদের সমান।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থাও অনুমোদিত হয়েছে।
গণভোটে ভোটারদের সামনে থাকবে নিম্নলিখিত চারটি প্রস্তাব—
ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী গঠিত হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট—১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে, এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গ) নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের মতো ৩০টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিজয়ী দল বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

