ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা বৈধ ছিল না বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এমফিল প্রোগ্রামে যথাযথ ভর্তি প্রক্রিয়া না হওয়ায় তার ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল হয়েছিল। ফলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে তার প্রার্থিতা অগ্রহণযোগ্য ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁনকে জিএস পদে বিজয়ী ঘোষণা করা যেতে পারে।
রাশেদ খাঁন বলেছেন, “দীর্ঘ সময় পরে হলেও আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ, তারা আমার অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে।”
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপি, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, কেন্দ্র দখল, কৃত্রিম লাইন, অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে অংশগ্রহণ, ব্যালট পেপারে জালিয়াতি ও ব্যালট বাক্সে কারচুপি—এ ধরনের অনিয়মের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন।
২০১৯ সালের নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল ১০,৪৮৪ ভোটে। রাশেদ খাঁন পেয়ে ছিলেন ৬,০৬৩ ভোট। যদি সিন্ডিকেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে, নির্বাচনের ছয় বছর পর তিনি ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক হবেন।







