মোঃ মামুন মোল্লা :
নগরীর খালিশপুরের মুজগুন্নি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, খুলনা মহানগরী আমীর ও খুলনা-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ও গ্যারেজ ঘুরে দেখেন এবং তাদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মানবতার সেবা করাই হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির মূল ভিত্তি। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আসল পরিচয়। আমরা সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’ যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে। এই ধরনের দুর্ঘটনা আমাদের সবাইকে সচেতন হতে আরও অনুপ্রাণিত করবে। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া ও ধর্য্য ধারণের জন্য আল্লাহ তায়ালার সাহায্য কামনা করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৯ নং ওয়ার্ড আমির কাজী বায়েজিদুল ইসলাম, নাসরুল্লাহ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী জিয়াউল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন আলী,মাওলানা নজরুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মানিক মিয়া, ইলিয়াছ আলি,আরমান হোসেন, নূর আলী, আহাদ আলী, মেহেদী জামান, হাফেজ ইউনুস আলী, ইউনুছ আলী মন্টু, শ্রমিকনেতা নাছির উদ্দীন, হাফেজ নাছরুল্লাহ, যুবনেতা বাদশা মোল্লা , বাদশাহ মিয়া, কাজী নুরুন্নবী, এস এম মাহফুজুর রহমান, মনজুরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, হিমেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের ৯ নং ওয়ার্ডের ১৯ নং রোড ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে আব্দুল হাই শেখের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়, ৭ টি দোকান মুদি দোকান, ১টি অটোর গ্যারেজ, ১টি রিকশা গ্যারেজ ও ১টি বেকারী, ৩টি অটো, ৪টি রিকশা ও ১টি মোটর সাইকেল পুড়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, পাশের একটি ইজি বাইকের গ্যারেজ বা বেকারি থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বয়রা, দৌলতপুর ও খালিশপুর স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ডাম্পিং কার্যক্রমের মাধ্যমে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মোশাররফ হোসেন জানান, দোকানের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কিছুই বাঁচাতে পারিনি।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে ৭টি দোকান, দুটি গ্যারেজ এবং স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।







