নাজমুজ সাকিব,পার্বতীপুর, (দিনাজপুর):
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ইউনিটই বন্ধ থাকায় রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এতে বিশেষ করে উপজেলা ও গ্রামীণ জনপদে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধার চরাঞ্চলে এর প্রভাব সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গৃহস্থালি কাজ, ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি কৃষিকাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেচযন্ত্র চালাতে না পারায় কৃষকরা এখন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘দুই ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ যায়, ফলে পাম্প চালিয়ে ধানক্ষেতে পানি দেওয়া যাচ্ছে না। ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে, কিছু করার উপায় নেই।’
রংপুরের মিঠাপুকুরের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে ফ্রিজ আর ফ্যান চালাতে পারছি না। বিক্রিও কমে গেছে, সব মিলিয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়েছি।’
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় তারা পর্যায়ক্রমে এক অঞ্চলের সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্য এলাকায় সরবরাহ সচল রাখার চেষ্টা করছে। তবে এতে সাময়িক স্বস্তি এলেও সার্বিকভাবে জনগণের দুর্ভোগ কমছে না।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিনটি ইউনিটই সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে মেরামতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই এটি চালু করা যাবে। তখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।