শেখ হাসিনার পাঁচ চাচাতো ভাই যথাক্রমে শেখ হেলাল উদ্দিন, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল উদ্দিন, শেখ শাহ জালাল রুবেল ও শেখ বেলাল উদ্দিন। এর মধ্যে শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েল যথাক্রমে বাগেরহাট-২ ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। আরেকজন সংসদ সদস্য ছিলেন শেখ হেলাল উদ্দিনের ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। ওই বাড়ি থেকেই মূলত: পদ্মার এপারের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো।
এ ছাড়া এ অঞ্চলের সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেরও ঠিকাদারী কাজ নিয়ন্ত্রিত হতো ওই বাড়ি থেকে। ভাঙচুরের সময় অনেককেই বলতে শোনা গেছে, ‘এই বাড়িতে অনেককেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অনেক রাজনৈতিক নেতাকেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, অনেক আমলাকেও এই বাড়িতে হাজিরা দিতে দেখা গেছে’।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, পদোন্নতিও নিয়ন্ত্রিত হতো এই শেখ বাড়ি থেকে। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল শেখ বাড়ি সম্পর্কে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত বছর ৪ ও ৫ আগস্ট এবং সর্বশেষ ছয় মাসের মাথায় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)।