পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদে ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ (এসএমডিএ) স্বাক্ষর করেছেন। অনুষ্ঠানে শাহবাজকে সৌদি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের অভিবাদন, লালগালিচা সংবর্ধনা ও পূর্ণ রাজকীয় প্রটোকলের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রায় আট দশক ধরে চলা পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্কের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতি, গাজায় হামলা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সংঘাতের মধ্যে চুক্তিটি নতুন রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা যোগ করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চুক্তি পাকিস্তানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের মতো উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মডেল হতে পারে। এতে যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন এবং সৌদি আরবে পাকিস্তানি সেনা মোতায়েনের সুযোগ তৈরি হবে।
ঐতিহাসিকভাবে, পাকিস্তান স্বাধীনতার পর ১৯৪৭ সালে সৌদি আরব প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৫১ সালের বন্ধুত্ব চুক্তি থেকে শুরু করে দুই দেশের সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বহুবার দৃঢ় হয়েছে।
চুক্তির কোনো পারমাণবিক ছাতা নেই, তবে রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সমন্বয় আরও গভীর হবে এবং ভবিষ্যতে উভয় দেশের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতিতে নতুন প্রভাব ফেলবে।