জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে কর্মরত এক নৈশ্যপ্রহরীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার মাদক সেবনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত নৈশ্যপ্রহরীর নাম জুয়েল রানা। তিনি কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বহুতি গ্রামের লুদু মিয়ার ছেলে। ২০২৩ সালে ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নৈশ্যপ্রহরী পদে যোগ দেন এবং বর্তমানে ওই পদে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাইরাল ছবিতে বোতল হাতে দেখা যাওয়া ব্যক্তিই জুয়েল রানা। তাকে নিয়মিত জয়পুরহাটের সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত করতে দেখা যায়। তবে স্থানীয়রা জানান, এলাকায় তাকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তাকে আমরা চিনতে পারছি না। যদি তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং মাদক সেবন করে থাকেন, তাহলে প্রিন্সিপাল স্যার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সায়ফুল ইসলাম বলেন, জুয়েল রানা আমাদের প্রতিষ্ঠানে নৈশ্যপ্রহরী হিসেবে কর্মরত। বোতল হাতে তার একটি আংশিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে। বিষয়টি আমি জানি। তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, ছবিটি ২০১৮-২০ সালের পুরনো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পোস্ট করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
প্রতিষ্ঠানের এডহক কমোটির সভাপতি এ্যাডভোকেট আহসান হাবিব চপল বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। ছবিটি আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান, আমি প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলব।
নৈশ্যপ্রহরী জুয়েল রানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
কলেজ শাখার প্রভাষক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিনসহ একাধিক শিক্ষক বলেন, আমাদের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে একজন মাদকাসক্ত কর্মচারী থাকা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। আমরা চাই, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এমপিও নীতিমালা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম তার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে অন্য উপজেলা থেকে ফেন্সি জুয়েলকে এনে ব্যাকডেটেড নিয়োগপত্র তৈরি করেছেন বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে৷







