সত্যজিৎ দাস:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ৬৪ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) পদায়নের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (পুলিশ-১ শাখা) থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,জনস্বার্থে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’য় লটারির মাধ্যমে নতুন এসপি বাছাই করা হয়। লটারিতে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,নির্বাচনকালে মাঠ পর্যায়ের পুলিশিং নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন বা বিতর্ক না ওঠে-সেই লক্ষ্যেই প্রথমবারের মতো লটারি পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব,দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত ‘ফিট লিস্ট’ থেকে কর্মকর্তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নতুন পদায়নে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা এবার বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী-
মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন,যিনি এর আগে নীলফামারীর এসপি হিসেবে বদলির আদেশ পেয়েছিলেন,তাকে মৌলভীবাজার জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ও সীমান্তবর্তী জেলায় নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তার কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মোছা. ইয়াছমিন খাতুন,মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ জেলার নতুন এসপি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন। লটারি-নির্বাচিত এই পদায়নকে স্থানীয় প্রশাসন নির্বাচন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।
এ ছাড়া-ময়মনসিংহের এসপি কাজী আখতার উল আলম সিলেটে,পিবিআইয়ের এসপি আবু বাসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন সুনামগঞ্জে দায়িত্ব পেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়,নির্বাচনকে ঘিরে মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বে নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কয়েক দফা পর্যালোচনা শেষে বড় পরিসরের এই রদবদল চূড়ান্ত হয়। সম্প্রতি ছয় জেলায় দেওয়া নতুন নিয়োগ স্থগিত রাখার কারণও ছিল একই-স্বচ্ছ পদ্ধতি নিশ্চিত করা।
গত শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনকালীন পুলিশের নিয়োগ-বদলি নীতিমালা নিয়ে আলোচনার পর লটারির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে,লটারি ভিত্তিক পদায়ন পদ্ধতি মাঠপর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করবে। এর ফলে নির্বাচন চলাকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা আরও বাড়বে বলেও তারা মনে করেন।







