অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অতীতের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে এসে আসন্ন নির্বাচনকে নতুন মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। তিনি মনে করেন, পুলিশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, তিনি বলেন, “অতীতের নির্বাচনগুলো অনেকেই প্রহসনের বা প্রতারণার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছেন। আমরা সেই পর্যায় থেকে উপরে উঠে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করব। এই পরিবর্তন কার্যকর করার দায়িত্ব পুলিশের।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচন সাধারণ নয়; এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া একটি ইতিহাসসম্মত নির্বাচন, যা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং একই দিনে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিদেশি প্রতিনিধিদল ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এই নির্বাচনকে একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখুক, সেই লক্ষ্যে আপনাদের দায়িত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব পালন করার সময় সৃজনশীল ও উদ্যোগী হতে হবে।”
মুহাম্মদ ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনে কর্মকর্তাদের কাজের মান উন্নত করতে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলম।

