ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়েছে বিষয়টি প্রথমবারের মতো স্বীকার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজায় চলমান যুদ্ধ ও কট্টর উগ্র ডানপন্থি নীতির কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তিনি বলেন, দেশকে এখন স্বনির্ভর অর্থনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
ইসরায়েলকে নিজেদের অস্ত্র নিজেকেই তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু। আনাদোলু জানায়, গাজায় চলমান যুদ্ধ ও তার সরকারের কট্টর ডানপন্থি নীতির কারণে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপে পরায় প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের একঘরে হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার মধ্যে চলে যাচ্ছি আর আমাদের ধীরে ধীরে এমন এক অর্থনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে যেখানে স্বনির্ভরতার বৈশিষ্ট্য থাকবে। মূলত নেতানিয়াহুর সরকার এতদিন কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। তবে মাসের পর মাস নানা সতর্কবার্তার পর নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যকে বড় ধরনের স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলের অর্থনৈতিক পত্রিকা দৈনিক দ্য মার্কারও নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় তিনি বলেছেন, দেশ এখন এক ধরনের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে আছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাইরের ওপর নির্ভরতা এড়াতে ইসরায়েলকে নিজেদের অস্ত্র নিজেকেই তৈরি করতে হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডা ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে।
অন্যদিকে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ চলতি মাসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এদিকে নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ। এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতা ভাগ্য নয়, এটা নেতানিয়াহুর ভুল ও ব্যর্থ নীতির ফল। তিনি ইসরায়েলকে তৃতীয় বিশ্বের দেশে পরিণত করছেন এবং পথ বদলানোরও চেষ্টা করছেন না।