ঢালিউডের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশে আবারও আলোচনায় এসেছে তার রহস্যময় মৃত্যু। এ মামলার প্রধান আসামি সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক এবং অন্যতম আসামি খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ দুই আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। জানা গেছে, ডন শিগগিরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই বলছে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। ভাবছি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।’
সালমান শাহর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে ডন বলেন, ‘যে চলচ্চিত্র ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি, অভিনয়ের ভালো সুযোগ পাওয়ার আশায় সালমানের সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমি আত্মহত্যা করিনি—এটাই কি আমার অপরাধ? ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই, তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কি না জানি না।’
মৃত্যুর আগে সালমান শাহর সঙ্গে শেষ দেখা নিয়েও কথা বলেন ডন। তিনি বলেন, ‘৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। সালমান বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর “আনন্দ অশ্রু” ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিই। দুই দিনের ফাঁকে ভাবলাম বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরতে পারিনি। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর খবর এল—সালমান শাহ আর নেই।’







