ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার বিশাল এলাকা এখন ৬১ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপে ঢেকে গেছে। চলমান ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে পুরো এলাকা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের বরাতে ফিলিস্তিনের ওয়াফা সংবাদ সংস্থা এই খবর দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে, পরিবারগুলো ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে এখনো পানি ও আশ্রয়ের সন্ধান করছে। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, চলমান অবরোধ সত্ত্বেও তাদের দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতেও উপত্যকায় মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
টানা দুই বছরের গণহত্যা যুদ্ধের অবসানের পর, মার্কিন সমর্থিত চুক্তির মাধ্যমে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই দুই বছরের সংঘাতের ফলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজারেরও বেশি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেই, একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ইসরায়েল ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালায়, যার ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। দুর্ভিক্ষের কারণে শিশুসহ বহু মানুষ মারা গেছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর ফলে ইসরায়েল গাজায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।