প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে মানহানির মামলায় সাধারণত তেমন কোনো ফলাফল হয় না। এর ফলে পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো ইচ্ছেমতো বানানো খবর প্রকাশ করতে পারে। প্রতিবাদ করলেই তারা ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’র আড়ালে নিজেদের কার্যক্রম ঢেকে রাখার চেষ্টা করে।
শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, সম্প্রতি একজন স্বনামধন্য সম্পাদক তার পত্রিকায় বিভিন্ন মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করছেন। তিনি মনে করছেন, ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রে সাংবাদিকতার নীতিশাস্ত্র প্রযোজ্য নয়। অথচ যুক্তরাজ্যে ট্যাবলয়েডের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার মানদণ্ড লঙ্ঘন বা মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোটি কোটি পাউন্ড জরিমানা গুনতে হয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এই দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, অনেক পত্রিকার সম্পাদক নিয়মিত অভিযোগ করেন যে দেশে প্রেস-স্বাধীনতা নেই এবং শেখ হাসিনার পতনের পরও কিছুই বদলায়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও গবেষণা-বিহীনভাবে সেই অভিযোগগুলো পুনরায় তুলে ধরে। শত শত সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে যেসব সংখ্যা প্রকাশ করা হয়, তার মধ্যে কতজন প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিকতার কারণে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কতজন অন্য কারণে—তার কোনো নিরীক্ষণ হয় না।
প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সূচনার পর থেকেই বাংলাদেশের সাংবাদিকরা অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছেন। তারা প্রায় যেকোনো বিষয় লেখার ও বলার অধিকার রাখেন; এমনকি সামরিক বাহিনী সম্পর্কেও মনগড়া মন্তব্য করতে তাদের কোনো বাধা নেই। এরপরও তারা বিশ্বের সবচেয়ে অভিযোগকারী গোষ্ঠীর মধ্যে একটি। প্রায়ই শোনা যায়, ‘দেশে কি আর সাংবাদিকতা করার পরিবেশ আছে!’—এ ধরনের অভিযোগ।







