মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে একটি বিশেষ বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যার নেতৃত্ব দেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ সোহেল। র্যালির সমাপ্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধ এবং গণআন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ছবি টাঙিয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান, বিপ্লবী নেতা সিরাজ সিকদার, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মেজর জলিল এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতা শরীফ ওসমান হাদির ছবি প্রদর্শিত হয়।
আরিফ সোহেল এই সময় বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কোনো দল বা পরিবারের নয়, এটি ছিল জনগণের জনযুদ্ধ। পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের সময় আওয়ামী লীগ কাপুরুষের মতো পিছু হটেছিল, অথচ দেশের সাধারণ কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই যুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে গেছে। যুদ্ধ শেষে ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে জনগণ নতুন সংগ্রাম গড়ে তুলেছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যাদের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে—সিরাজুল আলম খান, সিরাজ সিকদার, মেজর জলিল, মওলানা ভাসানী এবং শরীফ ওসমান হাদি—তাদের স্মরণে এই র্যালি আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা একাত্তরের জনযুদ্ধকে শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ন্যারেটিভ থেকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য রাখছি।”
র্যালিতে অংশ নেওয়া জুলাই যোদ্ধারা শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আরিফ সোহেল জানান, এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতেও নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

