কর্পোরেট সিন্ডিকেটের প্রভাব ও সরকারের নীরবতার প্রতিবাদে শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটি বলছে, কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া দৌরাত্ম্যে পোলট্রি খাত ধ্বংসের মুখে পড়েছে, ফলে ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিপিএ জানায়, ফিড, বাচ্চা, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের বাজারে কর্পোরেট সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা প্রান্তিক খামারিদের টিকে থাকার লড়াইকে অসম্ভব করে তুলেছে।
বিপিএ বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন মিল, ভুট্টা, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন প্রিমিক্সের দাম টানা তিন বছর ধরে কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা প্রতিদিন ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বিপিএ’র ৭ দফা দাবি:
১️⃣ কর্পোরেট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ফিড, বাচ্চা, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।
২️⃣ কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত, ন্যায্য ও স্বচ্ছ বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
৩️⃣ প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনকে নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪️⃣ ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের বাজারে নিয়মিত অডিট ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৫️⃣ উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ১০% লাভ যুক্ত করে ডিম ও মুরগির ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে হবে।
৬️⃣ ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিতে হবে।
৭️⃣ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্পোরেটপন্থী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকার দাবিগুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে পর্যায়ক্রমে খামার বন্ধের কর্মসূচি কঠোর আকারে রূপ নেবে।
 
			 
			






