যশোরের শার্শা উপজেলার একটি নারী কওমি মাদ্রাসার ছাত্রীদের ডরমেটরিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের পর অবশেষে মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬টি সিসি ক্যামেরা, মনিটরসহ পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম জব্দ করে। ছাত্রীদের থাকার ঘরে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে, যা অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
ইউএনও জানান, শনিবারের মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ জন ছাত্রীকে পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে কওমি শিক্ষা বোর্ড।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম বৈঠকে ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের কোনো নারী কওমি মাদ্রাসায় আর সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না।
এই সিদ্ধান্তকে স্থানীয় প্রশাসন ও অভিভাবকরা স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।