গত রোববার (১১ মে) রাত ১১টা ১৭ মিনিটে একটি ফেসবুক পেজ ‘আমার দেশ’-এ একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেছেন। পোস্টটিতে বলা হয়, “ইউনূস আমার বন্ধু এবং তিনি অত্যন্ত উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক। ট্রাম্প আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে খুবই ভালো করছেন ইউনূস।”
এই পোস্টটি পরবর্তীতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। তবে কিছু সময় পর সেটি মুছে ফেলেন তিনি। তার শেয়ার করা পোস্টটি প্রকাশ্যে আসার পর এটি দ্রুতই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কিন্তু এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ‘রিউমর স্ক্যানার’।
রিউমর স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা এডিট করা এবং ভুয়া। তারা আরো জানায়, ভিডিওটি আসলে ট্রাম্পের অন্য একটি বক্তব্যের এডিট করা সংস্করণ, যেখানে ড. ইউনূসের সম্পর্কে প্রশংসা করার কোনো উল্লেখ ছিল না।
এখানে মূল সমস্যাটি হলো ভুয়া তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং সেটি প্রচার করা, যা কখনো কখনো সাধারণ জনগণের কাছে বিভ্রান্তি তৈরি করে। বিশেষ করে যখন এটি সমাজের আলোচিত ব্যক্তিদের, যেমন ড. ইউনূসের মতো বিশ্বব্যাপী পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়।
এ ঘটনায়, আসিফ নজরুলের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমে ভুল তথ্যের প্রসার ঘটে এবং পরে তা মুছে ফেলা হলেও, এতে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খারাপ প্রভাব এবং ভুয়া তথ্যের দ্রুত বিস্তারকে আরও একবার প্রমাণিত করে।
তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব এবং ফ্যাক্ট-চেকিং এর প্রয়োজনীয়তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিউমর স্ক্যানার এর মতো সংস্থাগুলোর কাজ সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা সঠিক তথ্য পাই এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর পরিণতি থেকে রক্ষা পেতে পারি।