রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ বাড়াতে এবং ইউক্রেনে তার আগ্রাসন থামাতে বিশ্বনেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাজ্য কিয়েভকে অতিরিক্ত £৪৫০ মিলিয়ন সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও জার্মানির উদ্যোগে ৫০টি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুক্রবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন হিলি বলেন, “আমাদের আরও পদক্ষেপ নিতে হবে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে হবে।”
সহায়তা প্যাকেজে কী আছে?
এই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
- শত-শত হাজার ড্রোন
- অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন
- সামরিক যান ও সরঞ্জাম মেরামতের জন্য অর্থ
এর মধ্যে:
- £১৬০ মিলিয়ন ব্যয় হবে পূর্বে সরবরাহ করা সরঞ্জাম ও যানবাহন মেরামতের জন্য
- £২৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যয়ে সরাসরি সম্মুখযুদ্ধের জন্য রাডার সিস্টেম, মাইন এবং ড্রোন সরবরাহ করা হবে
আন্তর্জাতিক তহবিলের অংশ
এ অর্থের মধ্যে £৩৫০ মিলিয়ন দিচ্ছে যুক্তরাজ্য নিজে, বাকি অর্থ আসছে নরওয়ে থেকে, যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন International Fund for Ukraine এর মাধ্যমে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
- লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল এই প্যাকেজকে “টাকায় সামান্য পরিবর্তন” বলে উল্লেখ করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যে থাকা রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
- ডিফেন্স মন্ত্রী হিলি বলেন, “২০২৫ সাল হবে ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। যুদ্ধরত সেনাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।”
নতুন নেতৃত্ব, নতুন বার্তা
এই সম্মেলন এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতো, কিন্তু ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় নিরাপত্তা থেকে কিছুটা সরে আসায় এখন এই দায়িত্ব নিয়েছেন হিলি এবং জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস।
একইসাথে, ফ্রান্স-ব্রিটেন নেতৃত্বাধীন “coalition of the willing” নামের ৩০ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের আরেকটি বৈঠকেও ইউক্রেনের শান্তির জন্য সম্ভাব্য বাহিনী স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
হিলি স্পষ্ট করেছেন, তারা যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মাঝে কোন শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছেন না; বরং ইউক্রেনের নিজস্ব সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করাই মূল লক্ষ্য।