দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দূষিত শহর পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস আজ ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরটির একিউআই (AQI) স্কোর দাঁড়ায় ৩৬২, যা বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় লাহোরকে শীর্ষে নিয়ে গেছে।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, লাহোরে সাধারণত শীত মৌসুমে (অক্টোবর–ফেব্রুয়ারি) দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কৃষকেরা ফসল কাটার পর খড়কুটো পুড়িয়ে ফেলায় তৈরি ধোঁয়া ও আবহাওয়াগত কারণ দূষিত কণাগুলোকে দীর্ঘ সময় বাতাসে আটকে রাখে।
এদিকে, বৃষ্টির প্রভাব শেষ হতেই ঢাকার বাতাসেও দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সকালে রাজধানীর একিউআই স্কোর ছিল ১৫৫, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। এই অবস্থায় বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা নবম স্থানে রয়েছে।
আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যানবাহন কম থাকলেও বায়ুর মানে কোনো উন্নতি হয়নি; বরং গতকালের তুলনায় অবনতি দেখা গেছে। গতকাল ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল, কিন্তু আজ তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর।
দূষিত শহরের তালিকায় লাহোরের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (স্কোর ২০৩) এবং কলকাতা (স্কোর ১৭১)।
বিশেষজ্ঞদের মতে—
AQI স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে বাতাসকে ‘ভালো’,
৫০–১০০ ‘মাঝারি’,
১০১–১৫০ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’,
১৫১–২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’,
২০১–৩০০ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’,
এবং ৩০১-এর ওপরে ‘বিপজ্জনক’ ধরা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণ উপাদান— পিএম১০, পিএম২.৫, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (CO), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) ও ওজোন—এর ভিত্তিতে।
বিষয়: পরিবেশ | বায়ুদূষণ | স্বাস্থ্যঝুঁকি | দক্ষিণ এশিয়া







