ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান সোহেল আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি পোস্টে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করেন।
ভর্তি ও পর্যবেক্ষণ: গত রোববার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে, এবং তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সিসিইউতে স্থানান্তর: এরপর বৃহস্পতিবার থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এই বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন:
তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিক মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসা সমন্বয় করছেন।
আজ দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ড. রেজা কিবরিয়ার বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন:
“আপনারা জানেন, ম্যাডাম অসুস্থ এবং আমাদের চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। দেশি-বিদেশি সমস্ত চিকিৎসকদের যুক্ত রেখেই তারা চিকিৎসাটা করছেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে গোটা দেশবাসী এই দোয়া করছি যে, আল্লাহ তাকে যেন সুস্থ করে দেন এবং তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আসেন।”

