রাজধানীর ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়ক থেকে মিছিলের প্রস্তুতিকালে যুবলীগের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে এসআই হেলালের নেতৃত্বে পুলিশ স্থানীয় ফুটপাতের দোকানদারদের সহায়তায় তাকে এবং তার সহযোগী মিলন খানকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, বাবুর বর্তমান ঠিকানা হাজারীবাগ থানার ৩৬/৬ গণকটুলি। চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন তিনি। ফেরার আগেই ফেসবুকে দেশে ফিরে “নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে” যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
ফেরার পরদিন ১৬ নভেম্বর হাজারীবাগ থানার বেরিবাঁধ এলাকায় তার নির্দেশনা ও আর্থিক সহায়তায় যুবলীগ কর্মী অপু একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে—এমন ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য-প্রমাণ শওকত হোসেন বাবুর হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার অ্যাপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, বাবু জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা “স্বীকার” করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, হাজারীবাগ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াকিপের নির্দেশনায় বাবু রাজধানীর নানা স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের কার্যক্রমে যুক্ত ছিল।
এছাড়া আজকের মিছিলে যোগ দিতে শওকত হোসেন বাবুকে নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৌরভ হোসেন স্বপন। আর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির শেখ টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে শওকত হোসেন বাবুসহ অন্যদের ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কে ব্যানারসহ একত্রিত হওয়ার সমন্বয় করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের মোবাইল ফোনে ‘আস্থায় শেখ হাসিনা’, ‘যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণ’, ‘দরবার হল গ্রুপ’, ‘বেরি হাজারীবাগ ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ’, ‘২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’ এবং ‘বাঙালি বাংলাদেশ’—এমন একাধিক অনলাইন গ্রুপের সদস্যতার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব গ্রুপ ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের তথ্যও পাওয়া গেছে বলে পুলিশের দাবি।
এছাড়াও মিরপুর রূপনগর এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাতেও বাবুর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় তদন্ত টিম।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

