মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা ৪০,০০০ মার্কিন সেনা এখন ইরানের সম্ভাব্য পাল্টা হামলার মুখোমুখি—এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। বাহরাইন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ঘাঁটিগুলিতে এই সেনারা অবস্থান করছেন। এছাড়াও, ওই অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার মার্কিন নাগরিকও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে, তবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে জবাব দিতে পারে—বলে আশঙ্কা করছে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, “ইরান সব ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।”
অতীতের অভিজ্ঞতা:
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করলে, ইরান ইরাকে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে ১৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ১০০ জন মার্কিন সেনা আহত হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এখনকার সম্ভাব্য পাল্টা হামলা মোটেও কল্পনাপ্রসূত নয়।
বর্তমান প্রস্তুতি:
পরিস্থিতি মোকাবেলায় USS Nimitz বিমানবাহী স্ট্রাইক গ্রুপ ও অন্যান্য সামরিক শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়েছে। এসব বাহিনী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও, ড্রোন বা সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল।
তিনি বলেন, “ড্রোন হামলার ঝুঁকি মোকাবেলায় কোনো সন্তোষজনক পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয়নি।” এমনকি ইরান যদি মার্কিন ভূখণ্ড থেকেই ড্রোন হামলা চালায়, তাও অস্বাভাবিক হবে না—উল্লেখ করে তিনি ইউক্রেনের ড্রোন আক্রমণের উদাহরণটানেন।
ট্রাম্পের মন্তব্য:
১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমি হয়তো করব, হয়তো করব না। কেউ জানে না আমি কী করব।” এই অস্পষ্ট অবস্থান মার্কিন নীতিনির্ধারকদের আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।