আলজাজিরা জানিয়েছে, তারা বর্তমানে জর্দান থেকে সম্প্রচার করছে, কারণ ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত ২০ মাস ধরে গোটা মধ্যপ্রাচ্যবাসী আতঙ্কিত ও স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে আছে গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ, লেবাননে ধ্বংসযজ্ঞ, সিরিয়ার আকাশে ইসরায়েলের দখলদারি এবং গোটা অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য বিস্তারের দৃশ্যের দিকে।
অঞ্চলটির সরকারগুলো খুব ভালোভাবেই বুঝে গেছে, এই সংঘাত যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততায় চূড়ান্ত পর্যায়ে গড়ায়, তবে এর প্রভাব গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এটি নিছক কোনো সংঘর্ষ নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসরায়েল এখন এমন একটি বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করছে যে, কেবল যুক্তরাষ্ট্রই এই যুদ্ধকে দ্রুত শেষ করতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে এক ‘নতুন ভোর’ আনতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তেলআবিব ছাড়া আর কোথাও এমন ভাবনা নিয়ে কেউ উল্লসিত নয়।
অঞ্চলের জনগণ শুধু উদ্বিগ্নই নয়, তারা নিজেদের নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ ও অস্তিত্ব নিয়েই গভীর শঙ্কায় ভুগছে। সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিনিরা, যারা মনে করছে, এই সংঘাতের চূড়ান্ত ফল তাদের ওপরই চাপিয়ে দেওয়া হবে। তাদের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন হয়তো পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে বসেছে।