ভারতের গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত মতামত কলামে এ কথা জানান তিনি।
- আজ বৃহস্পতিবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই মতামত কলাম প্রকাশিত হয়েছে।
- কলামে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে একটি কার্যকর ও ইতিবাচক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভারতও বাংলাদেশের এই ইচ্ছায় সায় দেবে।
- ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে উৎখাত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর এক ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক।
- তবে দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন উপদেষ্টা। তিনি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। ভুল বোঝাবুঝি ও অস্থিরতার জায়গাগুলো নিরসনের মাধ্যমে সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলোকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ধারা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা তৌহিদ আশা করেন, এর ধারাবাহিকতায় উভয় দেশের মানুষই উপকৃত হবে।
উপদেষ্টা তৌহিদ উল্লেখ করেন, ভারতে বাংলাদেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে অনেক উচ্চবাচ্য হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ক্ষমতা শূন্যতার সময়টুকুতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। যার ফলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
তৌহিদ আরও দাবি করেন, যারা এতে প্রভাবিত হয়েছেন, তারা সবাই আগের সরকারের সুবিধাভোগী এবং বেশিরভাগই মুসলমান। ক্ষমতা গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসব অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। এমনকি সারাদেশের জনগণও সাহসিকতার সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, তাদের পরিবার ও মন্দিরের সুরক্ষা দিতে এগিয়ে আসে।
তা সত্ত্বেও ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের গণমাধ্যম ও সাইবারস্পেস বড় আকারে অতিরঞ্জিত ও প্রায়শই পুরোপুরি ভুয়া তথ্য প্রকাশ করে নেতিবাচক আবহ সৃষ্টি অব্যাহত রাখে’, যোগ করেন তিনি।