জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্যেই নতুন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে বেওয়াচ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক পরামর্শক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ইউএনডিপির সহায়তায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সভাটির আয়োজন করে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার রক্ষা তো দূরের কথা, বরং লঙ্ঘন হতো। বর্তমান সরকার সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে গুম-খুনসহ মানবাধিকার হরণের ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্তের ক্ষমতা কমিশনকে দিতে চায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন না থাকার কী পরিণতি হতে পারে তা গত ১৫ বছরে দেখা গেছে। এবার সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সঠিক আইন প্রণয়ন করে যেতে চায়।
সভায় শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “দীর্ঘদিনের গুম, খুন ও আয়নাঘরের দুঃশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমিশনকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্তের ক্ষমতা দিতে হবে।”
সভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটু সিগফ্রিড রেংগলি, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকে এতে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সরকার মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ রহিত করে নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত ড্রাফটে কমিশনকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গুম ও খুন প্রতিরোধে আলাদা আইন প্রণয়নের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।