শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ছাত্রসমাজ তাদের সঠিক রায়ের মাধ্যমে তা রুখে দিয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কোনো ষড়যন্ত্র ছাত্র জনতা রুখে দেবে বলে জানান জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নীলফাামারী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতির নামে বাসি স্লোগান এখন বাংলাদেশে অচল উল্লেখ করে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন, সামনের দিনে রাজনীতি পুরাতন কোনো সমীকরণের আলোকে হবে না। এমনকি অতীতের নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেয়েছে সেই ইকোয়েশন আগামীতে কোনো কাজে দেবে না। ডাকসু নির্বাচনে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। যারা নির্বাচনের আগে রাজাকার ট্যাগিং ব্যবহার করে পাস করতে চেয়েছে, তারাই এখন নির্বাচন বয়কট করা শুরু করেছে। এ কালচার বাংলাদেশের মানুষ আর চায় না।
আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এরকম বিপ্লব ঘটে যাবে। তাই জনগণের মনোবাসনা পূরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে সার্বিকভাবে যোগ্য, দক্ষ ও সততার প্রতিক হয়ে উঠতে হবে। এজন্য নিজেদের মান উন্নয়নের দিকে জোর দিতে হবে। দায়িত্বশীল সকলকে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রোকন হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করি তাহলে নীলফামারী-৪ তথা সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সব নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা সম্ভব হবে। এজন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করার আহবান জানান তিনি।
এসময় তিনি আগামীর স্থানীয় নির্বাচনে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের জন্য চেয়ারম্যান পদে উপজেলা নায়েবে আমীর শফিকুল ইসলাম এবং পৌর পরিষদের জন্য মেয়র পদে সৈয়দপুর পৌর আমীর শরফুদ্দিন খানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আন্তাজুল ইসলাম, সৈয়দপুর শহর জামায়াতের আমীর মো. শরফুদ্দিন খান।
সমাবেশে জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল কাদিম, সৈয়দপুর উপজেলা নায়েবে আমীর মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি মাযহারুল ইসলাম, শহর সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এতে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা এবং দায়িত্বশীলদের করণীয় নির্ধারণের উদ্দেশ্যেই এ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।