ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাদিক কায়েম। নির্বাচনের পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, নারীর স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই; হিজাব হোক বা আধুনিক পোশাক—সব শিক্ষার্থীর অধিকার সমান।
সাদিক কায়েম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন তারা। মেয়েদের হলের নিরাপত্তা, ক্যাম্পাসে বাস সার্ভিসে লাইভ লোকেশন চালু, লাইব্রেরির আধুনিকীকরণকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
নারীদের আস্থা কেন পেলেন?
নারী ভোট নিজের দিকে টানতে পারার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন,
“আমরা প্রমাণ করেছি—নারীর অধিকার ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি শুধু কথার কথা নয়। নারীরা যে নেতৃত্ব চান, তা আমাদের জোটেই পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান। এখানে হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার আছে। কারও ব্যক্তিগত পরিচয় বা পোশাক নিয়ে কাউকে হেয় করা চলবে না।”
বিরোধীদের সঙ্গে কাজ
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কায়েম বলেন, তাদের ইশতেহার ও প্রত্যাশাগুলোও বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যুক্ত করা হবে।
একচেটিয়া জয়ের কারণ
জয়ের পেছনে শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিকভাবে জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করার দিকটি কাজ করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
হলভিত্তিক ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে
জগন্নাথ হলে কম ভোট পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোট কোথায় কত পাওয়া হলো তা বড় বিষয় নয়। “আমাদের পরিচয় একটাই—আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিভাজন নয়, সবাই মিলে ক্যাম্পাসের উন্নয়নই হবে আমাদের কাজ।”

