যমুনা রেলসেতুর পিলারের নিচে চুলের মতো সূক্ষ্ম ফাঁকা বা ‘হেয়ার ক্র্যাক’ দেখা গেছে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে প্রায় আট থেকে দশটি পিলারে এই ক্ষুদ্র ফাঁকা চিহ্ন শনাক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা ঘষে ঘষে রেজিন বা আঠার প্রলেপ দিয়ে সেগুলোর মেরামত কাজ চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি এসব হেয়ার ক্র্যাকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। তবে যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি কোনো ফাটল নয় এবং সেতুর নিরাপত্তার জন্য কোনো ঝুঁকিও তৈরি করেনি।
যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মো. নাইমুল হক বলেন, “রেলসেতুর কোথাও কোনো কাঠামোগত ফাটল নেই। একটি মহল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর ছবি তৈরি করে অনলাইনে ছড়িয়েছে। জনগণ যেন এই গুজবে বিভ্রান্ত না হন।”
তিনি আরও বলেন, “এটি কোনো নির্মাণ ত্রুটি নয়। প্রচণ্ড গরম বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে কংক্রিটের ভেতরে ০.১ থেকে ০.৩ মিলিমিটার পর্যন্ত সূক্ষ্ম ফাঁকা তৈরি হয়েছে, যা হেয়ার ক্র্যাক নামে পরিচিত। এটি কংক্রিটের স্বাভাবিক আচরণ, সেতুর স্থাপনা বা ট্রেন চলাচলে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
প্রকৌশলী নাইমুল হক জানান, রেজিন ও বিশেষ আঠার মিশ্রণ দিয়ে একে একে সব ক্ষুদ্র ফাঁকা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সেতুর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই।
যমুনা রেলসেতুটি সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল অংশে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ।







