সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো—২০২৬ সালের জ্বালানি তেল আমদানি, অপরটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপকরণ সংগ্রহ।
চলতি বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির এই সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রথম প্রস্তাবে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়—জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনার পর নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ও সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবটি আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে, ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায়। প্রস্তাব অনুযায়ী, এক কোটি ই-পাসপোর্টের কাঁচামাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ৫০ লাখ কাঁচামাল বইয়ে রূপান্তর করা যাবে। পাশাপাশি ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বই এবং সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়।
বিস্তারিত আলোচনার পর, কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের জন্যও সুপারিশ করেছে। কমিটি উল্লেখ করে, ই-পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত রাখা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ করার জন্য এই প্রকল্পটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।