গাজার চলমান যুদ্ধবিরতি রক্ষার প্রচেষ্টার ওপর অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তির ছায়া পড়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক আলোচনা শান্তি ফেরানোর পরিবর্তে নতুন জটিলতার জন্ম দিচ্ছে।
সমঝোতার পথে বাধা
মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে, উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং শর্ত নিয়ে মতবিরোধের কারণে আলোচনা স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ইসরায়েল কেবল অস্ত্রবিরতির শর্ত কঠোর করছে, কিন্তু বাস্তব কোনো সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে না। অন্যদিকে, ইসরায়েল বলছে যে, হামাস যেসব দাবি তুলছে, তা অবাস্তব এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
মধ্যস্থতাকারীদের চ্যালেঞ্জ
কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনায় থাকা দেশগুলোও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। কাতার ও মিশর চাইছে, উভয় পক্ষ দ্রুত একটি অন্তর্বর্তী সমাধানে পৌঁছাক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি কিছুটা কঠোর অবস্থানে রয়েছে, বিশেষত ইসরায়েলের প্রতি তাদের শক্তিশালী সমর্থনের কারণে।
নাগরিকদের দুর্ভোগ অব্যাহত
এদিকে, গাজার সাধারণ জনগণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খাবার, পানি এবং চিকিৎসাসেবার সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সেই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি কূটনৈতিক সমাধান না হয়, তবে গাজায় আরও রক্তপাতের আশঙ্কা রয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েলের অবস্থান এখনো কঠোর, যা চূড়ান্ত সমঝোতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আগে কি বিশ্বনেতারা কোনো কার্যকর সমাধান খুঁজে পাবে? নাকি গাজায় সহিংসতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অনিশ্চিত।