ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ছয়জন জমজ নবজাতকের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) থাকা দুই নবজাতক মারা যায়।
এর আগে রবিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর কাঁটাবনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়। জন্মের পরপরই একটি নবজাতক মারা গিয়েছিল।
রোববার সকালে ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে নোয়াখালীর সেনবাগের কাতার প্রবাসীর স্ত্রী মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) তিন ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকেরা মাত্র ২৭ সপ্তাহের এবং ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বর্তমানে দুই কন্যাশিশু রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঢামেকের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, সাধারণত ২৮ সপ্তাহকে ‘ভায়াবল এইজ’ ধরা হয়, তবে উন্নত এনআইসিইউ সুবিধার কারণে ভাগ্যে থাকলে শিশুরা বেঁচে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, একসঙ্গে ছয় সন্তান জন্ম দেওয়া সাধারণ নয়। রোগী ওভুলেশন ইন্ডাকশন ড্রাগ সেবন করেছিলেন, যার কারণে একাধিক সন্তান ধারণ হয়েছে। জরায়ুর সীমিত ধারণক্ষমতার কারণে আগেভাগেই ডেলিভারি হয়েছে। ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, “এখন পুরো বিষয়টি আল্লাহর হাতে, আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছি।”