দিনাজপুর দাখিল পরীক্ষায় ৭ জন পাশ
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের কাহারোলে চলতি বছরে প্রকাশিত দাখিল পরীায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় চাহিদা অনুয়ায়ী টাকা না দেওয়ায় ফেল করে দেয়া ৯ শিার্থীর মধ্যে ৭ জন পাস করেছে।
গত রবিবার (২২অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফলাফল পূনঃনিরিক্ষণ করে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড তাদের ৭ জনের কৃতকার্যের ফল প্রকাশ করেছে । কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম ৭ শিক্ষার্থীর পাস করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ আগষ্ট ফলাফল প্রকাশিত হয়। ৩১ আগষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রকাশ থাকে যে, চলতি বছরে প্রকাশিত দাখিল পরীায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় চাহিদা অনুয়ায়ী টাকা না দেয়ায় পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদ্রাসার ৪ জন ও চামদুয়ারী দাখিল মাদ্রাসার ৫ জন শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ এনে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদ্রাসা ও চামদুয়ারি দাখিল মাদ্রাসার হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ বলা হয় অভিযুক্ত হল সুপার ও কেন্দ্র সচিব শিার্থীদের কাছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু কয়েকজন শিার্থীর অর্থ সংস্থান না হওয়ায় তাঁরা ৪০০টাকা প্রদান করেন। কিন্তু ৪০০টাকায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় দুই মাদ্রাসার ৯ শিক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দিয়ে ফেল নম্বর দেওয়া হয়। ফলে ওই শিার্থীরা পদার্থবিজ্ঞান বাদে অন্য বিষয়গুলিতে আশাব্যাঞ্জক নম্বর পেলেও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ফেল করে।
অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিসার আজমল হক, মাধ্যমিক শিা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ তমিজুল ইসলাম ও সমবায় অফিসারকে কে দিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবারে পেশ করেন।
রিপোর্ট পাওয়ার পর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওই ৯ শিার্থীর ফলাফল পূনঃনিরিক্ষণ করে গত সোমাবার ফলাফল প্রকাশ করেন। যাতে ৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-সরঞ্জার দাখিল মাদ্রাসা মোহাম্মদ নোমান, মোহাম্মদ ফাহিম, মো:সোহেল রানা, মোহাম্মদ আমির হামজা ও চামদুয়ারী দাখিল মাদ্রাসার শিার্থী মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি,মোহাম্মদ পারভেজ, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, ৯ জন শিক্ষার্থী ব্যবহারিক পরীায় কম নম্বর দেওয়ার কারণে ফেলের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসক সাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করে ফলাফল পূনঃ নিরিক্ষনের আবেদন করেন। পরে পূণঃ নিরিক্ষণে ৯ জন শিার্থীর মধ্যে ৭ জন শিার্থী কৃতকার্য হয়েছে। যার ফলাফল গত রবিবার সন্ধ্যায় পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রনালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে।