মোঃ হারুন উর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা মারধোর, মিথ্যা অপপ্রচার, বাড়ি ভাংচুর, প্রাণনাশের হুমকিসহ কর্মস্থলে যাওয়ার বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর/২৫) সকালে সৈয়দপুর প্লাজার একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করেন একই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক ভুক্তভোগী সুমি আক্তার কল্পনা।
তিনি বলেন, গত ০৯ সেপ্টেম্বর চাকুরিচ্যুত নৈশপ্রহরী হাবিবুল্লা পায়েলের চক্রান্তে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী আবু তালেব, কর্মচারী মামুন, মেজবাউল হক, মতিয়ার রহমান সহ সহকারী শিক্ষক মানিক হোসেন এবং লিমন সম্মিলিত ভাবে আমার গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে আমাকে অফিস থেকে বের হয়ে যাইতে বলে। না গেলে প্রাণে মারার হুমকীও দেয় তারা। তারা বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নিতীর সাথে জড়িত। এসবের বাধা দেওয়ায় এমন হুমকীর মুখে পড়তে হয় আমাকে।
কল্পনা আরও বলেন, হাবিবুল্লা পায়েল আমার স্বামী। তিনি বিভিন্ন লোকের সাথে আঁতাত করে অনৈতিক কার্যকলাপসহ অর্থনৈতিক লেনদেন করায় চাকুরিচ্যুত হয়। এরপর থেকে তার সাথে আমার শত্রুতা। তারই নির্দেশে অফিসের কর্মচারীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি’র সাথে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। অফিস বাউন্ডারীর ভিতরে আমার টিনসেড বাড়ি ভাংচুর করেছে।তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে না থেকে ইপিজেড মোড়ে চলে আসি এবং নীলফামারী সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করে আমার ঘরের আসবাপপত্র নিতে গেল হাবিবুল্লা পায়েলের বাড়ির লোকজন আমাকে মারধোর করে এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও গহনাগাটি লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য দশ লক্ষ্য টাকা।আমি আমার কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাই। তা নাহলে সন্তান নিয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করতে হবে।
তাই ন্যায় বিচারসহ সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি। এসময় কল্পনার সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।