চাইথোয়াইমং মারমা, নিজস্ব প্রতিবেদক (রাঙামাটি)
পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের একটি আদর্শ মারমা গ্রামে দেখা গেছে নারীদের জীবনের সংগ্রামী চিত্র। রোববার (৮ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এই গ্রামের দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মারমা নারীরা ক্ষেত-খামার ও কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।
এই পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পরিশ্রমে পিছিয়ে নেই। বরং অনেক সময় পরিবার পরিচালনায় নারীদের ভূমিকা বেশি বলেই উঠে এসেছে। পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই মারমা নারীরা পরিবারে উপার্জন এবং ভরণপোষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন।

শৈশবকাল থেকেই এই নারীরা পরিশ্রমকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তারা কৃষিকাজ, ফলজ-বনজ উৎপাদন, শাকসবজি চাষ এবং সেগুলো বাজারে বিক্রির মধ্য দিয়ে নিজেরা অর্থ উপার্জন করে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চাচ্ছেন।
তবে, এখানকার নারীরা এখনও শ্রমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত। তারা দুঃখ প্রকাশ করে জানান, তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় প্রকৃত উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী জানান, “আমরা নারীরা পুরুষের চেয়ে কম নই। নানা পরিশ্রমের কাজে আমরা এক ধাপ এগিয়ে যেতে চাই। কিন্তু আমাদের শ্রমের নির্ধারিত ন্যায্য মজুরি এখনো নিশ্চিত হয়নি।”
তবুও তারা আশাবাদী। সমাজের পরিবর্তন ও উন্নয়নে নারীর অবদানকে সম্মান জানিয়ে তারা চান সম্মানজনক জীবন। তাই আসুন, পাহাড়ি অঞ্চলের এই পরিশ্রমী মারমা নারীদের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা দেখাই। কারণ তাদের কষ্ট আর শ্রমেই গড়ে উঠতে পারে একটি উন্নয়নমুখী সমাজ।