বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও গ্রামে ২০ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘পোভার্টি ম্যাপ অব বাংলাদেশ, ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পোভার্টি ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি যৌথভাবে আয়োজন করে বিবিএস, বিশ্বব্যাংক এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।
পোভার্টি ম্যাপে দেখানো হয়েছে, গ্রামে দারিদ্র্য কমেছে। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভেতে গ্রামে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০.৫ শতাংশ, যা পোভার্টি ম্যাপ অব বাংলাদেশ ২০২২ এর সার্ভেতে কমে হয়েছে ২০.৩ শতাংশ। অন্যদিকে, শহর এলাকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ১.৮ শতাংশ। আগে শহরে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪.৭ শতাংশ, তা এখন বেড়ে হয়েছে ১৬.৫ শতাংশ।
দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে ২৬.৬ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫.২ শতাংশ। রংপুরে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার রাজশাহী বিভাগে ১৬.৩ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১৮.৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২.৬ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১৭.১ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে ১৯.৬ শতাংশ।
তথ্য অনুযায়ী, দারিদ্র্য বেড়েছে সিলেট, রংপুর, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে। বরিশালে দারিদ্র্যের হার বেশি হলেও তা আগের ২৬.৯ শতাংশ থেকে ০.৩ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬.৬ শতাংশ।
হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভেতে ঢাকার দারিদ্র্যের হার ছিল ১৭.৯ শতাংশ, যা পোভার্টি ম্যাপ অব বাংলাদেশ ২০২২ সার্ভেতে বেড়ে হয়েছে ১৯.৬ শতাংশ।
পোভার্টি ম্যাপে আরও দেখা গেছে, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের ডাসার। এখানে দারিদ্র্যের হার ৬৩.২ শতাংশ। ২০১০ সালের সার্ভেতে এ উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৬.৬ শতাংশ। ঢাকার পল্টনে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম ১ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সামনো লাওসন পার্সিমেন্ট এবং বিশ্বব্যাংকের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম লিডার এস আমের আহমেদ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিউদ্দিন আহমেদ।