ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ- ঝালকাঠিতে সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর একান্ত সহকারী কিরন সহ আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে যুবদল নেতা। রবিবার, সকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নলছিটি উপজেলা যুবদলের নেতা মায়েল আহম্মেদ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর থেকে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মায়েল আহম্মেদ বলেন, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে তিনি স্থানীয় কিছু ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নম্বর ১/২৫) দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই গোষ্ঠী নাশকতা, চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলদারির সঙ্গে জড়িত। তিনি সাবেক এমপি আমি হোসেন আমুর একান্ত সহকারি ফখরুল মজিদ কিরন, মনির হোসেন তালুকদার, কৃষক লীগ কুলকাঠী ইউনিয়ন সভাপতি স্বপন সমাদ্দার সহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
তিনি নলছিটি আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস ফকির, যুবলীগ নেতা মনির চৌধুরী, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সেমল মণ্ডল, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, এই ব্যক্তিরা সরকারি সম্পত্তি দখল করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে যুক্ত। মায়েল আহমেদ বলেন, মামলার আসামিরা তাকে এখন প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
পুলিশ প্রসঙ্গে মায়েল আহমেদ বলেন, নলছিটি থানার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এই ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এবং মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার শহিদুল ইসলাম, যাকে তিনি ফ্যাসিবাদীদের দালাল বলে অভিহিত করেন। নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), যিনি মামলাটির বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতার দাবি, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। পুলিশ আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এস.এম. পারভেজ
ঝালকাঠি ০২/০২/২০২৫