টিটু সরকারঃ
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় বিএনপি নেতা মোতালেব হাজী নিজের প্রভাব বিস্তার করতে ঝুট ব্যবসা দখল, ইন্টারনেট ব্যবসা দখল, ময়লার ব্যবসা দখল থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবসা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগ নেতাকে থানা থেকে ছাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাপ বিএনপি নেতাদের শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে আরেক বিএনপি নেতা কাশেদম সিকদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে শেয়ার করেন। তারপর থেকেই শুরু হয় তার ও তার পরিবারের লোকজনের উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন। মোতালেব হাজী ও তার ছেলেরা কাশেম সিকদারকে প্রকাশ্যে এবং মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এব্যাপারে কাশেম সিকদার জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন যাহার নং ৮৪৯। কাশেম সিকদার বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে থানা থেকে ছাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাপ বিএনপি নেতাদের সংবাদটি তিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। তারপর থেকে ১। আমির হাসান রিপন (২৯), পিতা আঃ মোতালেব, ২। আঃ মোতালেব (৫৮), পিতা মৃত, কাজিমুদ্দিন, ৩। সোহাগ (২৫), ৪। শাহজালাল (৩৮) উভয় পিতাঃ আঃ মোতালেব, কাশেম সিকদার ও কাশেম সিকদারের পরিবারের লোকজনকে ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। বিভিন্ন সময় তাদের বাড়িতে হামলা চালায় আঃ মোতালেবের লোকজন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কাশেম সিকদারের পরিবার। জানা যায়, আঃ মোতালেব গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, শাহজালাল ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আমির হাসান রিপন ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সোহাগ কোন পদে না থাকলেও বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা। এবং ভুক্তভোগী কাশেম সিকদার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে কাশেম সিকদার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
এব্যাপারে জানতে আঃ মোতালেবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আপনি কষ্ট করে মনিপুর এসে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন, কি কারণে কাশেম সিকদার এমন অভিযোগ করছেন তা জানা নেই। আঃ মোতালেবের পক্ষ থেকে কোন ধরনের হুমকি দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ধরনের হুমকি দেয়া হয়নি।
এব্যাপারে জানতে জয়দেবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জেনে জানাবেন বলে জানান কিন্তু পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করেননি।