আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় ইসরাইলি বিমান বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৩৮৮ জন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ রাফার যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সহায়তা কেন্দ্রের কাছে চালানো এক হামলায়।
সোমবার (৯ জুন) রাতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৯২৭ জনে। এ সময় আহত হয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালালে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হন। এরপর থেকেই গাজায় চালানো হয় ইসরাইলের সামরিক অভিযান।
প্রথম দফার অভিযান শেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরাইল। তবে ১৮ মার্চ থেকে আবারও হামলা শুরু করে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৬৪৯ ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার ৫৭৪ জন।
ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন এবং তাদের উদ্ধারে অভিযান চলবে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহল—বিশেষত জাতিসংঘ ও আইসিজে (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত)—ইসরাইলকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল এবং সব জিম্মি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হবে না।”
সম্প্রতি গাজায় দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল সে প্রস্তাবে সম্মতি দিলেও হামাস এখনো চূড়ান্ত সাড়া দেয়নি।